সংসার ভাঙে শহরে বেশি, তালাকে এগিয়ে মেয়েরা


ছবি- ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
(অনুসন্ধান২৪.কম) সামান্য বিষয় নিয়ে দাম্পত্য কলহ। অত:পর বিবাহ বিচ্ছেদ-তালাক। বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে এ ঘটনা এখন বেশ অহরহ ঘটছে। বিশেষ করে বিভাগীয় শহর অঞ্চলে ঘর ভাঙার হার সবচেয়ে বেশি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঢাকার পর তালাকের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম ও সিলেট এগিয়ে। দেশের পৌরসভাগুলোর প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত এক দশকে বিবাহ বিচ্ছেদ হার উদ্বেগজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে সমাজের উচ্চ বিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণির নারী-পুরুষ এগিয়ে আছেন। বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বর্তমানে মোট তালাকের মধ্যে প্রায় ৭০ ভাগেরও বেশি স্ত্রীর পক্ষ থেকে
দেওয়া হচ্ছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের তথ্যে, প্রতি বছরেই বিবাহ- বিচ্ছেদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিটি করপোরেশনের সালিশি বোর্ডের তথ্যে, ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীতে তালাকের সংখ্যা ২৭০০৩। আর মোট তালাকের ৮৫ ভাগ তালাক দেওয়া হচ্ছে নারীদের পক্ষ থেকে। তালাক প্রাপ্ত নর-নারীরা বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ পরকীয়াকে বলছেন। পৌরসভাগুলোর প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, উচ্চবিত্ত শ্রেণির নারীরা মতের অমিল হলে ও উচ্চাকাঙ্খার জন্য বিবাহ বিচ্ছেদে যাচ্ছেন। উচ্চবিত্ত নারীদের পরিবারের পক্ষ থেকে অর্থনৈতিক সমস্যা না থাকায় বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা-দ্বন্ধ্বে পড়তে হয় না। এছাড়া কিছু পেশায় জড়িত থাকায় এরা স্বামীর উপর নির্ভরশীল নন। আগে সমাজে বিচ্ছেদের পর নারী-পুরুষদের নিয়ে এক ধরনের নেতিবাচক ধারণা কাজ করলেও এখন বিষয়টি ক্রমেই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ খুজতে গিয়ে তালাকপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন নর-নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে, স্বামী বা স্বামী পক্ষের যৌতুক দাবি, স্বামী বা স্ত্রীর উভয়ের শারিরীক বা মানসিক অত্যাচার, মাদকাসক্তি, পরকীয়া, দুজনের জীবন-যাপনে অমিল, সন্দেহপ্রবণতা, স্বামীর কাছ থেকে ভরণ পোষণ না পাওয়া, স্ত্রীর অবাধ্য দেওয়া, সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম থেকে যেমন ফেসবুক ও টুইটারে একাধিক সম্পর্কে জড়ানো এবং স্ত্রীর ধর্মীয় অনুশাসন অনুযায়ী জীবনযাপন না করায় তালাকের ঘটনা ঘটছে।

No comments: